Skip to main content

Posts

Showing posts from June, 2019

I am Nahid Ashraf

I publish my personal contents in hare. And this story or blogs are my presonal openion . I do write some short story and also review books.

শিলা:২

টিনের ঘরে যে এত ছিদ্র থাকে , সেটা আগে আমি জানতাম না । সকালবেলা তো ,তাই বোঝা যাচ্ছে । এখন মনেহয় সাতটা পেরিয়েছে । শীতের দিন তো, তাই বোঝা যাচ্ছে না ।কাল মনে হচ্ছিল , আজ রাতে আর ঘুম ধরবে না । কিন্তু , ঘুম ভালই হয়েছে । এই কনকনে ঠান্ডায় লেপটা বেশ কাজে দিয়েছে , যদিও আরামদায়ক ছিল না । আমাদের দুজনকে যে লেপটা দেয়া হয়েছে , সেটার গায়ে অনেক লেখা আর ছবি । “রহিম সীডস” , “রহিম সীডস” , “রহিম সীডস”-এরকম কিছু লেখা । লেখার পাশে লাল রঙের কিছু বীজের ছবি । কে জানে , কীসের বীজ হতে পারে এগুল ো । নীচে কারখানার ঠিকানাও দেওয়া আছে । লেপটার গায়ে এরকম লেখা কেন কে জানে ? কালকে একটা টিনের বাক্র থেকে আমাদের লেপটা বের করে দেয়া হয়েছে । মনেহয় এরা এটার খুব যত্ন করে । আমার বেড পার্টনার মরিয়ম এখন গভীর ঘুমে আছে । এই মেয়েটার সাথে এখনও আমি কথা বলি নি । আমাকে দেখলেই কেমন হা করে তাকিয়ে থাকে । মাকে জিজ্ঞেসা করেছিলাম, মা বলেছে ও নাকি আমার সম্পকে নাতি হয় । মানে আমি ওর দাদি বা নানি । দাদি বা নানি হতে হলে তো আমাকে আগে বিয়ে করতে হবে , আমার বাচ্চাদের আবার বাচ্চা হতে হবে ।  আমি হলাম কী করে কে জানে ? মেয়েটা সারারাত...

শিলা: ১

শিলা প্রথমবার গ্রামে এসেছে। ওর নানুর বাড়ি। দুপুরের খা খা রোদে আম গাছের নিচে একটা মোটা বাঁশের বেঞ্চিতে বসে আছে। এটাকে নাকি মাচাল বলে। বেঞ্চ বানিয়েছে তো এত মোটা করে বানানোর কি দরকার ছিল। বেঞ্চটা আবার সরানোও যায় না। এর পা গুলো মাটির ভেতরে গেঁথে দেওয়া হয়েছে। সকালে ও খেতেই পারে নি। ওকে পানি মেশানো ভাত খেতে দেওয়া হয়েছিল। ভাত আবার এভাবে খায়, কে জানত? ওর মা-বাবা ওটা খুব মজা করে খেল, যেন কতদিন খায়নি কিছু। শিলা ওর মা-বাবার প্রথম সন্তান। হয়তোবা শেষও, সেটা ও জা নে; কিন্তু কেন, সেটা জানে না। ওর বাবা একটা সফটওয়্যার কোম্পানিতে চাকরি করে। আগে সাঁতারু ছিল। ওর বাবার চুলের চিপে পাকা-কাঁচা চুলের মিশ্রন। তবুও শক্ত-সুঠাম দেহগঠন। ওর বান্ধবীরা এখনও বলে; যখন শিলা ওর বাবার সাথে গতবছর এই স্কুলে ভর্তি হতে এসেছিল, ওর বাবাকে ওরা শিলার ভাই মনে করেছিল। কাল রাতে ওর নানি পান চিবুতে চিবুতে বলছিল, মেয়েটা শহরে থেকে থেকে এক্কেবারে পুতুলের মত হয়ে গিয়েছে।  হ্যা, মা সত্যিই পুতুলের মত সুন্দর। শিলা ওর মায়ের মত সুন্দর কাউকে এ পর্যন্ত দেখেনি। ও নিশ্চত যে ওর মা যদি প্রতিযোগীতায়য় অংশ নিত, তাহলে ওর ...

ATM Booth

অনেকদিন লেবু চা খাওয়া হয় না। ভাল লেবু নেই বাজারে। হটাৎ সবুজ মোটা চামড়ার টাটকা টাটকা লেবু পাওয়া গেছে। তাই বেশ খানিকটা শখ করেই বিকালবেলা চায়ের কাপে চুমুক দিয়েছি। বিকালে চা মানেই দুনিয়ার আজগুবি সব চিন্তা আমার মাথায় এসে জরো হবে। নিজেকে তখন দেশের কোনো শীর্ষস্থানীয় বুদ্ধিজীবি বলে মনে হয়। আমার কাছে বারান্দাই হল একমাত্র উপযুক্ত স্থান চায়ের মজা নেবার জন্য। তাই বারান্দাতেই বসছি। আমার সামনে উজ্জর বিকাল। সূর্য ৪৫ ডিগ্রি অ্যঙ্গেলে সাদা মেঘের আরাল থেকে ফুচকি দিচ্ছে, আবার লুকিয়ে যাচ্ছে। স ূর্যের এই আচরন বেশ ভালই লাগতেছে। "Mr. Been's Holiday" সিনেমাটা বেশ কয়েকবার দেখছি।  এই সিনেমার সূত্র ধরেই আমার মাথায় এটিএম বুথ নিয়ে ভাবনা চিন্তা এসেছে। অন্যান্য দেশে এটিএম বুথের ভুমিকা এরকম যে, কোনো বাসস্টপ, রেলস্টেশন কিংবা শপিংমল অথবা কোনো গুরুত্বপূর্ন স্থানে একটা এটিএম বুথ অসহায়ের মত দারিয়ে আছে। মানুষজনের প্রোয়োজন হলেই সেখান থেকে টাকা বের করে নিচ্ছে। কিন্তু, বাংলাদেশেই একমাত্র এটিএম বুথের সাথে একজন গার্ড দেখা যায় এটির নিরাপত্তার জন্য। এই গার্ড শুধুই গার্ড না, এদের জন্য কোম্পানী আল...

শিলা:3

পরন্ত দুপুর। শিলা সোফায় গুটি মেরে টিভি দেখছে। জানালার কাঁচ ভেদ করে রোদের আলো টিভির পর্দায় এসে পরেছে। অস্পস্ট ছবিতে শিলা দেখছে, একটা ছেলে পাহাড়ের শেষ মাথায় দাড়িয়ে আছে। হাতে একটা বই আর একটা ব্যাগ। ছেলেটার সামনে কিছু বিবর্ণ পাখি উড়ছে। টিভির অস্পস্ট শব্দে ইংরেজি একটা গান শিলার কানে ভেসে ভেসে আসতে থাকে। শিলার চোখ বুজে যাচ্ছে। শিলার স্বপ্নের জগৎ ক্রমেই স্পস্ট হচ্ছে। এক শূন্য জগৎ। সবকিছু সাদা। আশেপাশে কোনো বস্তুুর অস্তিত্ব নেই। যতদূর চোখ যায় সব সাদা। শিলার পায়ের নিচে কিছু নেই । এই জগৎ যেমন শূন্য তেমনি অসীম। এই শূন্যতার কোনো শেষ নেই। এই জগতে কেবলই শিলা। শিলা আতঙ্কিত চোখে চারদিকে তাকায়। নাহ্, কেউ নেই।  শিলার সামনে একটা কালো বিন্দু ক্রমেই বড় হচ্ছে। একটা মানুষ। নাহ্, একটা ছেলে। হ্যা, একটা ছেলে। ছেলেটা ক্রমেই শিলার দিকে এগিয়ে আসে। ময়লা হালকা হলুদ টি-শার্ট পরা। উষ্ক-খুষ্ক চুল। মুখে বহুদিনের পুরোনো কাটা দাগ। শিলা নিঃশ্বাস বন্ধ করে দাড়িয়ে থাকে। ছেলেটা শিলার সামনে এসে দাড়ায়। ছেলেটা হাতে এক গোছা ময়লা রসি ঝুলছে। শিলা নিঃশব্দে একটা নিঃশ্বাস ছেড়ে দেয়। ছেলেটার মুখ মন খারাপের মত হয়ে যায়...

শিলা:৪

শিলা স্কুল মাঠের কোনায় ছোট পিলারে উপর বসে আছে। হাতে বীট লবন। আঙ্গুল দিয়ে সে একটু একটু করে খাচ্ছে। একটু আগেই সে একটা বাদামওয়ালার কাছে থেকে চেয়ে নিয়েছে লবনটুকু। স্কুলে সাধারনত বাদামওয়ালারা হেঁটে বেড়ায় না, এক জায়গায় বসে থাকে। কিন্তুু এই বাদামওয়ালা ঘুরে বেড়াচ্ছে। এখন সে মাঠের আরেকপাশে। একটু পরেই এ পাশে চলে আসবে। তখন আরো খানিকটা লবন নেওয়া যাবে। হটাৎ হেডস্যার কোথাথেকে যেন চলে এলেন। উনি এসে বললেন, শিলা। আমি যান্ত্রিক গলায় বললাম, জ্বি। যেন রিভলবারে আগে থেকেই গুলি ভরা ছ িল, ট্রিগারে চাপ এবং গুলি বর্ষন। হেডস্যার বললেন, কি খাও? -লবন। হেডস্যার ময়লায় ঘিয়া রং হয়ে যাওয়া আলখাল্লা ধরনের একটা জিনিস পরেছেন। উনি হাত সবসময় পিছমোরা করে রাখছেন। হেডস্যার বললেন তুমি কি জান না, লবনের এক দানা জিহ্বায় ফেলা আর এক সিরিজ্ঞ বিষ শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়া ব্যাতিক্রমধর্মী কিছু নয়। শুধু ফলাফল আগে আর পরে গ্রহন। -জ্বি না স্যার। -তুমি আমাকে স্যার ডাকছ কেন? -কেন স্যার কি ডাকব? -আহা! আমি তো সকল কবির গুরু। কবিগুরু। গুরুদেব ডাকতে পার। -গুরুদেব কেন স্যার? -শিলা তুমি কি আমাতে চিনতে পারছ না? আমি কবিগুর...