শিলা স্কুল মাঠের কোনায় ছোট পিলারে উপর বসে আছে। হাতে বীট
লবন। আঙ্গুল দিয়ে সে একটু একটু করে খাচ্ছে। একটু আগেই সে একটা বাদামওয়ালার
কাছে থেকে চেয়ে নিয়েছে লবনটুকু। স্কুলে সাধারনত বাদামওয়ালারা হেঁটে বেড়ায়
না, এক জায়গায় বসে থাকে। কিন্তুু এই বাদামওয়ালা ঘুরে বেড়াচ্ছে। এখন সে
মাঠের আরেকপাশে। একটু পরেই এ পাশে চলে আসবে। তখন আরো খানিকটা লবন নেওয়া
যাবে।
হটাৎ হেডস্যার কোথাথেকে যেন চলে এলেন।
উনি এসে বললেন, শিলা।
আমি যান্ত্রিক গলায় বললাম, জ্বি। যেন রিভলবারে আগে থেকেই গুলি ভরা ছিল, ট্রিগারে চাপ এবং গুলি বর্ষন।
হেডস্যার বললেন, কি খাও?
-লবন।
হেডস্যার ময়লায় ঘিয়া রং হয়ে যাওয়া আলখাল্লা ধরনের একটা জিনিস পরেছেন। উনি হাত সবসময় পিছমোরা করে রাখছেন।
হেডস্যার বললেন তুমি কি জান না, লবনের এক দানা জিহ্বায় ফেলা আর এক সিরিজ্ঞ বিষ শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়া ব্যাতিক্রমধর্মী কিছু নয়। শুধু ফলাফল আগে আর পরে গ্রহন।
-জ্বি না স্যার।
-তুমি আমাকে স্যার ডাকছ কেন?
-কেন স্যার কি ডাকব?
-আহা! আমি তো সকল কবির গুরু। কবিগুরু। গুরুদেব ডাকতে পার।
-গুরুদেব কেন স্যার?
-শিলা তুমি কি আমাতে চিনতে পারছ না? আমি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
-সে কি গুরুদেব আপনার দাড়ি কি?
কবিগুরু তৎক্ষণাৎ তার রুচির পরিবর্তন ঘটিয়ে আমাকে কষে দিলেন এক চড়। বাকি পৃথীবি আমার কাছে অন্ধকার হয়ে গেল।
হটাৎ হেডস্যার কোথাথেকে যেন চলে এলেন।
উনি এসে বললেন, শিলা।
আমি যান্ত্রিক গলায় বললাম, জ্বি। যেন রিভলবারে আগে থেকেই গুলি ভরা ছিল, ট্রিগারে চাপ এবং গুলি বর্ষন।
হেডস্যার বললেন, কি খাও?
-লবন।
হেডস্যার ময়লায় ঘিয়া রং হয়ে যাওয়া আলখাল্লা ধরনের একটা জিনিস পরেছেন। উনি হাত সবসময় পিছমোরা করে রাখছেন।
হেডস্যার বললেন তুমি কি জান না, লবনের এক দানা জিহ্বায় ফেলা আর এক সিরিজ্ঞ বিষ শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়া ব্যাতিক্রমধর্মী কিছু নয়। শুধু ফলাফল আগে আর পরে গ্রহন।
-জ্বি না স্যার।
-তুমি আমাকে স্যার ডাকছ কেন?
-কেন স্যার কি ডাকব?
-আহা! আমি তো সকল কবির গুরু। কবিগুরু। গুরুদেব ডাকতে পার।
-গুরুদেব কেন স্যার?
-শিলা তুমি কি আমাতে চিনতে পারছ না? আমি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
-সে কি গুরুদেব আপনার দাড়ি কি?
কবিগুরু তৎক্ষণাৎ তার রুচির পরিবর্তন ঘটিয়ে আমাকে কষে দিলেন এক চড়। বাকি পৃথীবি আমার কাছে অন্ধকার হয়ে গেল।
ঘুম ভেঙ্গে দেখি আমাদের গাড়ি কোনো এক ব্রিজের উপর দিয়ে চলছে। সামনের
গাড়িগুলো দেখা যাচ্ছে না, দেখা যাচ্ছে শুধু গাড়ির মাথা। সন্ধ্যা পর পর।
আকাশ নিজেকে নিলাট মলাটে আবৃত করে নিচ্ছে।
বাবা ড্রাইভারের পাশের সিটে বসে গভীর মনোযোগে টাইপ করছেন। ইফতি সাহেব গাড়ি চালাতে চালাতে ভেতরের হলুদ টিমটিমে আলো জ্বালিয়ে দিলেন। এই আলোতে সবাইকে বিচিত্র লাগছে। আহা! আমার আম্মুটা আমার কোলে মাথা দিয়েই ঘুমিয়ে গেছে। গাড়ির জার্নি মার সহ্য হয় না। আজ মা মেয়ে দুজনেই শাড়ি পরেছি। আমারটা সবুজ মায়েরটা নীল। এখন মনেহচ্ছে আমি আম্মুর মেয়ে না, আম্মুই আমার মেয়ে। লক্ষী মেয়ে মায়ের কোলে টুপ করে ঘুমিয়ে গেছে। আমরা কোথায় যেন যাচ্ছিলাম? মৌলভিবাজার। নিশাত ভাইয়ার বিয়ে। এই নিশাত ভাইয়টাও হটাৎ করে কত বড় হয়ে গেল, এখন বিয়ে করছে।
বিয়ের মত ভয়ঙ্কর ধরনের অনুষ্ঠানে যাবার আগে শিলার খুব টেনশন হয়। টেনশনে দু চোখ ঘুমে জরিয়ে আসে। শিলা ঘুমিয়ে যায়। ঘুম হয় অতি সল্প সময়, কিন্তুু তার কাছে মনেহয় অনন্তুকাল ঘুমিয়ে সে জাগ্রত হল। ঘুম থেকে ওঠার পর ভালো লাগে না। হার্ট দপদপ করে, গলার কাছে টক ঢেঁকুর ওঠে। কিন্তুু, আজ ভাল লাগছে।
ঘুমিয়ে কি যেন স্বপ্ন দেখলাম! মনে পরছে না। তবে আজ মনের ভেতর খারাপ লাগা ভাবটা নাই। আলসে-আরাম লাগছে। আবার ঘুমিয়ে পরলে কেমন হয়! হয়ত স্বপ্নের বাকি অংশটাও দেখা যাবে। বাকি অংশ দেখলে প্রথমটুকুও মনে পরে যাবে। আকাশ আরও নীল হয়ে এসেছে। আকাশের নীল আর সাদা অংশ একই সাথে দেখা যাচ্ছে। যেন চিরজীবনই এই গাড়ি চলুক আর আমি চিরজীবনই নীল-সাদা আকাশ দেখি। কি সুন্দর!
হটাৎ ইফতি সাহেব ভয়ঙ্কর অসহায় চিৎকার দেন। আমার চোখ সামনের রাস্তায় স্থির হয়ে যায়....
বাবা ড্রাইভারের পাশের সিটে বসে গভীর মনোযোগে টাইপ করছেন। ইফতি সাহেব গাড়ি চালাতে চালাতে ভেতরের হলুদ টিমটিমে আলো জ্বালিয়ে দিলেন। এই আলোতে সবাইকে বিচিত্র লাগছে। আহা! আমার আম্মুটা আমার কোলে মাথা দিয়েই ঘুমিয়ে গেছে। গাড়ির জার্নি মার সহ্য হয় না। আজ মা মেয়ে দুজনেই শাড়ি পরেছি। আমারটা সবুজ মায়েরটা নীল। এখন মনেহচ্ছে আমি আম্মুর মেয়ে না, আম্মুই আমার মেয়ে। লক্ষী মেয়ে মায়ের কোলে টুপ করে ঘুমিয়ে গেছে। আমরা কোথায় যেন যাচ্ছিলাম? মৌলভিবাজার। নিশাত ভাইয়ার বিয়ে। এই নিশাত ভাইয়টাও হটাৎ করে কত বড় হয়ে গেল, এখন বিয়ে করছে।
বিয়ের মত ভয়ঙ্কর ধরনের অনুষ্ঠানে যাবার আগে শিলার খুব টেনশন হয়। টেনশনে দু চোখ ঘুমে জরিয়ে আসে। শিলা ঘুমিয়ে যায়। ঘুম হয় অতি সল্প সময়, কিন্তুু তার কাছে মনেহয় অনন্তুকাল ঘুমিয়ে সে জাগ্রত হল। ঘুম থেকে ওঠার পর ভালো লাগে না। হার্ট দপদপ করে, গলার কাছে টক ঢেঁকুর ওঠে। কিন্তুু, আজ ভাল লাগছে।
ঘুমিয়ে কি যেন স্বপ্ন দেখলাম! মনে পরছে না। তবে আজ মনের ভেতর খারাপ লাগা ভাবটা নাই। আলসে-আরাম লাগছে। আবার ঘুমিয়ে পরলে কেমন হয়! হয়ত স্বপ্নের বাকি অংশটাও দেখা যাবে। বাকি অংশ দেখলে প্রথমটুকুও মনে পরে যাবে। আকাশ আরও নীল হয়ে এসেছে। আকাশের নীল আর সাদা অংশ একই সাথে দেখা যাচ্ছে। যেন চিরজীবনই এই গাড়ি চলুক আর আমি চিরজীবনই নীল-সাদা আকাশ দেখি। কি সুন্দর!
হটাৎ ইফতি সাহেব ভয়ঙ্কর অসহায় চিৎকার দেন। আমার চোখ সামনের রাস্তায় স্থির হয়ে যায়....
Comments
Post a Comment