Skip to main content

শিলা:২

টিনের ঘরে যে এত ছিদ্র থাকে , সেটা আগে আমি জানতাম না । সকালবেলা তো ,তাই বোঝা যাচ্ছে । এখন মনেহয় সাতটা পেরিয়েছে । শীতের দিন তো, তাই বোঝা যাচ্ছে না ।কাল মনে হচ্ছিল , আজ রাতে আর ঘুম ধরবে না । কিন্তু , ঘুম ভালই হয়েছে । এই কনকনে ঠান্ডায় লেপটা বেশ কাজে দিয়েছে , যদিও আরামদায়ক ছিল না । আমাদের দুজনকে যে লেপটা দেয়া হয়েছে , সেটার গায়ে অনেক লেখা আর ছবি । “রহিম সীডস” , “রহিম সীডস” , “রহিম সীডস”-এরকম কিছু লেখা । লেখার পাশে লাল রঙের কিছু বীজের ছবি । কে জানে , কীসের বীজ হতে পারে এগুলো । নীচে কারখানার ঠিকানাও দেওয়া আছে । লেপটার গায়ে এরকম লেখা কেন কে জানে ? কালকে একটা টিনের বাক্র থেকে আমাদের লেপটা বের করে দেয়া হয়েছে । মনেহয় এরা এটার খুব যত্ন করে । আমার বেড পার্টনার মরিয়ম এখন গভীর ঘুমে আছে । এই মেয়েটার সাথে এখনও আমি কথা বলি নি । আমাকে দেখলেই কেমন হা করে তাকিয়ে থাকে । মাকে জিজ্ঞেসা করেছিলাম, মা বলেছে ও নাকি আমার সম্পকে নাতি হয় । মানে আমি ওর দাদি বা নানি । দাদি বা নানি হতে হলে তো আমাকে আগে বিয়ে করতে হবে , আমার বাচ্চাদের আবার বাচ্চা হতে হবে ।

 আমি হলাম কী করে কে জানে ? মেয়েটা সারারাত ঘুমোয় নি । মোবাইলে কার সাথে যেন খুস খুস করে কথা বলছিল । আমি খুব বিরক্ত হচ্ছিলাম । ভাবলাম একবার বলি , কিন্তু কিছু আর বললাম না । সারারাতে ও মোবাইলের চারটা ব্যটারি খুলেছে আর লাগিয়েছে । এখানকার মানুষ বড়ই বৈচিত্রময় । মেয়েটার বইয়ে এত কনসেপ্টট্রেশন , বলে বোঝানো যাবে না । কাল রাতে ও খাটের এক কোনায় বসে বই দেখছিল । আরেক কোনায় ওর চারটা বোন মিলে মোবাইলে “বদনাম হুই” টাইটেলের একটা গান বাজাচ্ছিল । গানটায় “মুন্নি” কথাটা বার বার ঘুরে ঘুরে আসছিল । গানটা একটু উগ্র প্রকৃতির । মেয়েটার কানে সমস্যা আছে নাকি , জানতে হবে ।
পাশের ঘরে কি যেন গুন গুন আওয়াজ হচ্ছে ? কোন যেন অডিও ক্লিপ্টে এরকম আওয়াজ শুনেছিলাম । হ্যা , এটা কুরআন তিলওয়াতের আওয়াজ । তবে , এটা অডিও ক্লিপ্ট নয় ; বাস্তব । এই সময় আওয়াজটা কেমন যেন ভয়ানক লাগছে । অন্যের বাসায় এসে বোধহয় সকাল সকাল ওঠা যায় । বাসায় থাকলে এতক্ষন পরে পরে ঘুমাতাম ।
শিলা লেপের গুটি শুটি ছাড়িয়ে বাড়ির বাইরে এসে দারিয়েছে । সূয্য অনেকটা উঠে গিয়েছে ; কুয়াশার চাদর এখনও কাটেনি । শিলা যেখানে দারিয়ে আছে , তার চারপাশে অনেক সরিষা গাছের স্তুপ । ও একটা ঢিবির ওপর বসে , অন্যমনস্ক হয়ে কমলা রঙের সূর্যটার দিকে তাকিয়ে রইল...........

Comments

  1. Casino de Montebello-Villa, Spain | DRMCD
    Casino 대전광역 출장안마 de Montebello-Villa, Spain. 24 hours a 부산광역 출장샵 day, 7 days a week. The 강릉 출장샵 slot 평택 출장샵 machine houses 2,500,000 Scoville-type 3 reel, 50,000-folding Scoville-type 이천 출장샵

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

3D Printing ,যেটার উপর আমরা নির্ভরশীল হতে যাচ্ছি

একসময় হাতে বই লেখা হত, তারপর ফর্মায় ফেলে দ্রুত বই তৈরি করা হল,  তারপর ফটোকপি মেশিন সেটাকে আরো একটু দ্রুত করে দিল, আর এখনকার কথা,  তো সবাই জানি। কত কম সময়ের মধ্যে কত বিশাল পরিমান বই তৈরি করে ফেলা হচ্ছে।   আর এর মূলে কিন্তু রয়েছে আধুুনিক সব প্রিন্টার। এই সব প্রিন্টারের দ্রুততা,  নিখুততা আমাদের কল্পনাকেও হার মানাচ্ছে।  তবে এর ভবিষ্যৎ কি? হাতে লেখার ভবিষ্যৎ ছিল,  ফর্মা, আবার ফর্মার ভবিষ্যৎ হল ফটোকপিয়ার।  যারা একটু ইন্টারনেট ঘাটাঘাটি করেন তারা নিশ্চয়, একটু আন্দাজ করতে পারছেন, 3D printer নামে একটা জিনিস বেশ কয়েক বছর ধরে শোনা যাচ্ছ,  তবে আম জনতার(mango people😁) মাঝে এটা খুব একটা হাইপ তুলতে পারেনি কারন,  বিষয়টা আমাদের প্রোয়োজনের সাথে যায় না তাছাড়া এর ব্যবহার কেবল ছোট ছোট খেলনা বানানোতেই সীমাবদ্ধ রয়ে গিয়েছিল,  বিগত সময়গুলোতে।  3D printer এ মূলত এমন কিছু প্রিন্ট করা সম্ভব যা ত্রিমাত্রিক হবে।  যেমন একটা কলম কিংবা সাইকেলের টায়ার কিংবা আপনার জুতাও৷ অর্থাৎ, ইন্টারনেট থেকে একটা জুতার 3D মডেল ডাউনলোড করলেন, আপনার ...

মন প্রোকৌশল, স্বপ্ন অনুপ্রেরনা আর জীবন গড়ার ফরমুলা

" মন প্রোকৌশল , স্বপ্ন অনুপ্রেরনা আর জীবন গড়ার ফরমুলা " বইটার নাম , শুনতে অদ্ভুত এবং অস্বাভাবিকভাবে বড়। নাম শুনেই সহজেই বলে দেয়া যায় যে বইটা মূলত কিসের ওপর লেখা। হ্যা , মোটিভেশনাল ক্যাটাগরির বই এটা। মোটিভেশনাল ক্যাটাগরির হলেও সামান্য বিশেষত্য আছে এতে। একটু পরেই তা ব্যক্ষা করছি। বাংলা ভাষায় লেখা এরকম বই খুবই কম আছে , যদিও এখন এর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।   এই বইটার যে দুইটা জিনিস আমাকে প্রথম দফাতেই চমৎকৃত করেছে সেটা হল , এর ফ্রন্ট কভারের ডিজাইনটা এবং এর ব্যক কভারে লেখা লেখকের সম্পর্কে …… এই বইটা অনেক ছোট ছোট অনুপ্রেরণা মূলক প্রবন্ধ দিয়ে ভর্তি যেগুলো কোনোভাবেই দুই পাতার বেশি নয়। খুবই ছোট ছোট প্রবন্ধ। এই প্রবন্ধ গুলো অনুপ্রেরনা মূলক হলেও , আমার নিজের দৃষ্টি থেকে এই প্রবন্ধগুলো আমাদের প্রচলিত চিন্তাধারার পেছনে , প্রশ্নবোধক চিহ্ন জুরে দেয়৷ আমরা সচরাচর যেভাবে চিন্তা করি তাতে সামান্য পরিবর্তন আনতে সাহস জোগায়। বইটাকে কেন সম্পূর্ণভাবে মোটিভেশনাল ক্...

শরবতে বাজিমাত

শরবতে বাজিমাত, মুনির হাসানের লেখা এই বইটার নামটা ভারি অদ্ভুদ বটে। ভাবছেন কি বিষয়ের উপর লেখা বই, শরবত বানানোর কলাকৌশল?? নাহ্, এটা মূলত ব্যবসা রিলেটেড বই। মুনির হাসান, যার হাতে সূচনা হয়েছে, "চাকরি খুজব না, চাকরি দেব" প্লাটফর্মের। এই বইটাও উদ্দোক্তাদের আরেকটু উদ্দোক্তা হবার পথে এগিয়ে যাবার অনুপ্রেরনা দিয়েছেন… তবে একটু ভিন্নভাবে। বইটাতে রিচার্ড, অ্যডাম এবং জন নামের তিন বন্ধুর গল্প বলা হয়েছে যারা UK তে শরবতের ব্যবসা শুরু করে ইনোসেন্ট নামে। এই তিন বন্ধুই একসাথে কেমব্রিজ থেকে পাশ করে বের হয় এবং যথারীতি চাকরিতেও ঢুকে যায়, কিন্তু কেমব্রিজে থাকা অবস্থাতেই তাদের মাথায় ব্যবসার চিন্তা ঘুরপাক খেতে থাকে এবং এক পর্যায়ে তারা চাকরি ছেড়ে ১৯৯৮ সালে ৫০০ পাউন্ড সম্ভল নিয়ে "ইনোসেন্ট" নামে একটা স্মুদির(যাকে খাস বাংলায় শরবত বলা চলে) কোম্পানি শুরু করেন যেটি কিনা আজ ইউরোপ জুরে প্রতিদিন তিনলাখ বোতল বিক্রি হয়। তিন বন্ধুর এই ব্যবসার গল্পকে কেন্দ্র করেই লেখক তার নিজের দৃষ্টিকোন থেকে বইটি লিখেছেন। তাদের জীবনের বিভিন্ন ঘটনাকে বর্ননা করে, লেখক উপদেশ দিয়েছেন একজন...