একসময় হাতে বই লেখা হত, তারপর ফর্মায় ফেলে দ্রুত বই তৈরি করা হল, তারপর ফটোকপি মেশিন সেটাকে আরো একটু দ্রুত করে দিল, আর এখনকার কথা, তো সবাই জানি। কত কম সময়ের মধ্যে কত বিশাল পরিমান বই তৈরি করে ফেলা হচ্ছে। আর এর মূলে কিন্তু রয়েছে আধুুনিক সব প্রিন্টার। এই সব প্রিন্টারের দ্রুততা, নিখুততা আমাদের কল্পনাকেও হার মানাচ্ছে। তবে এর ভবিষ্যৎ কি? হাতে লেখার ভবিষ্যৎ ছিল, ফর্মা, আবার ফর্মার ভবিষ্যৎ হল ফটোকপিয়ার। যারা একটু ইন্টারনেট ঘাটাঘাটি করেন তারা নিশ্চয়, একটু আন্দাজ করতে পারছেন, 3D printer নামে একটা জিনিস বেশ কয়েক বছর ধরে শোনা যাচ্ছ, তবে আম জনতার(mango people😁) মাঝে এটা খুব একটা হাইপ তুলতে পারেনি কারন, বিষয়টা আমাদের প্রোয়োজনের সাথে যায় না তাছাড়া এর ব্যবহার কেবল ছোট ছোট খেলনা বানানোতেই সীমাবদ্ধ রয়ে গিয়েছিল, বিগত সময়গুলোতে। 3D printer এ মূলত এমন কিছু প্রিন্ট করা সম্ভব যা ত্রিমাত্রিক হবে। যেমন একটা কলম কিংবা সাইকেলের টায়ার কিংবা আপনার জুতাও৷ অর্থাৎ, ইন্টারনেট থেকে একটা জুতার 3D মডেল ডাউনলোড করলেন, আপনার ...
হাইজেনবার্গের গল্প, নাম শুনেই হয়তো আন্দাজ করে ফেলেছেন যে এটা বিজ্ঞানী হাইজেনবার্গের জীবনী বিষয়ক বই হবে। যেখানে, তার জন্ম মৃত্য কিংবা ছোট বেলায় তিনি খুব ভাল ছাত্র ছিলেন, এধরনের ভুয়ষী প্রশংশা করা থাকবে। কিন্তু না। এই বইটা মূলত, বিজ্ঞানে আগ্রহী করে তোলা কিংবা বিজ্ঞানের অসাধারণ সব অবদানের সমষ্ঠি। আমরা সচরাচর পত্রিকা কিংবা ওয়েবে এরকম তথ্য পড়ে থাকি যে, অমুক করলে ওই রোগ হবার সম্ভাবনা নেই কিংবা তমুক করলে সেই রোগ সেরে যাবে। কিন্তু এগুলোর ভিক্তি কি তা আমরা কখনোই ঘেটে দেখি না। এই তথ্যগুলো কিভাবে আসে, এই বইয়ে সুন্দরভাবে ব্যক্ষা করা হয়েছে। বিজ্ঞানের অবদানের কথা তো আমরা হরহামেশা শুনেই থাকি, কিন্তু এই বইয়ে সেটাই একটু সিনেমার ঘটনাপ্রবাহের মত করে বলা হয়েছে। বইটা যখন পড়তে শুরু করেছিলাম, অর্থাৎ বইয়ের প্রথম দিকে যখন ছিলাম, তখন বইয়ের লেখককে সামান্য অহংকারী বলে মনে হচ্ছিল তার লেখনীর ধরনের কারনে। কিন্তু, বইয়ের যখন মাঝামাঝি চলে এলাম, তখন মনে হল, নাহ্ লেখক এতটুকু অহংকার করতেই পারে, কারন, তার ব্যক্ষা করার, বুঝানোর কৌশল সত্যিই অসাধারন!! বইয়ের বেশ কয়েকটা পয়ে...