Skip to main content

হাইজেনবার্গের গল্প

হাইজেনবার্গের গল্প, নাম শুনেই হয়তো আন্দাজ করে ফেলেছেন যে এটা বিজ্ঞানী হাইজেনবার্গের জীবনী বিষয়ক বই হবে। যেখানে, তার জন্ম মৃত্য কিংবা ছোট বেলায় তিনি খুব ভাল ছাত্র ছিলেন, এধরনের ভুয়ষী প্রশংশা করা থাকবে। কিন্তু না।

এই বইটা মূলত, বিজ্ঞানে আগ্রহী করে তোলা কিংবা বিজ্ঞানের অসাধারণ সব অবদানের সমষ্ঠি।

আমরা সচরাচর পত্রিকা কিংবা ওয়েবে এরকম তথ্য পড়ে থাকি যে, অমুক করলে ওই রোগ হবার সম্ভাবনা নেই কিংবা তমুক করলে সেই রোগ সেরে যাবে। কিন্তু এগুলোর ভিক্তি কি তা আমরা কখনোই ঘেটে দেখি না। এই তথ্যগুলো কিভাবে আসে, এই বইয়ে সুন্দরভাবে ব্যক্ষা করা হয়েছে।


বিজ্ঞানের অবদানের কথা তো আমরা হরহামেশা শুনেই থাকি, কিন্তু এই বইয়ে সেটাই একটু সিনেমার ঘটনাপ্রবাহের মত করে বলা হয়েছে। 



বইটা যখন পড়তে শুরু করেছিলাম, অর্থাৎ বইয়ের প্রথম দিকে যখন ছিলাম, তখন বইয়ের লেখককে সামান্য অহংকারী বলে মনে হচ্ছিল তার লেখনীর ধরনের কারনে। কিন্তু, বইয়ের যখন মাঝামাঝি চলে এলাম, তখন মনে হল, নাহ্ লেখক এতটুকু অহংকার করতেই পারে, কারন, তার ব্যক্ষা করার, বুঝানোর কৌশল সত্যিই অসাধারন!!

বইয়ের বেশ কয়েকটা পয়েন্ট উল্লেখ করছি যেগুলো দেখলে আপনার বইটা অবশ্যই পড়তে ইচ্ছে হবে।

HIV কি মশার মাধ্যমে ছড়াতে পারে??

আমাদের দেশের সৃষ্টি কিভাবে তা তো আমরা সবাই জানি, কিন্তু "ইসরাইল" কিভাবে সৃষ্টি হল??

জঙ্গিবাদের সাথে কি DNA এর সম্পর্ক আছে??

যুদ্ধাস্ত্র তৈরি করতে গিয়ে যেভাবে তৈরি হল মাইক্রোওভেন।

এবং শেষর অংশে হাইজেনবার্গের কথা বলা হয়েছে… হয়তো এবং হয়তো হাইজেনবার্গের কারনেই আজ পর্যন্তও ২য় বিশ্বযুদ্ধ অব্যাহত থাততো….

সব মিলিয়ে বইটা পড়ার পর আমার বিজ্ঞান সম্পর্কে ধারনা বইটা পড়ার আগে যা ছিল তা থেকে বেশ খানিকটা নড়চড় হয়েছে।

ছোট বেলায় খেয়ালের বসে বলতাম বড় হয়ে বিজ্ঞানী হব। বইটা পড়ার পড় সে ইচ্ছা একেবারেই শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে...

Comments

Popular posts from this blog

3D Printing ,যেটার উপর আমরা নির্ভরশীল হতে যাচ্ছি

একসময় হাতে বই লেখা হত, তারপর ফর্মায় ফেলে দ্রুত বই তৈরি করা হল,  তারপর ফটোকপি মেশিন সেটাকে আরো একটু দ্রুত করে দিল, আর এখনকার কথা,  তো সবাই জানি। কত কম সময়ের মধ্যে কত বিশাল পরিমান বই তৈরি করে ফেলা হচ্ছে।   আর এর মূলে কিন্তু রয়েছে আধুুনিক সব প্রিন্টার। এই সব প্রিন্টারের দ্রুততা,  নিখুততা আমাদের কল্পনাকেও হার মানাচ্ছে।  তবে এর ভবিষ্যৎ কি? হাতে লেখার ভবিষ্যৎ ছিল,  ফর্মা, আবার ফর্মার ভবিষ্যৎ হল ফটোকপিয়ার।  যারা একটু ইন্টারনেট ঘাটাঘাটি করেন তারা নিশ্চয়, একটু আন্দাজ করতে পারছেন, 3D printer নামে একটা জিনিস বেশ কয়েক বছর ধরে শোনা যাচ্ছ,  তবে আম জনতার(mango people😁) মাঝে এটা খুব একটা হাইপ তুলতে পারেনি কারন,  বিষয়টা আমাদের প্রোয়োজনের সাথে যায় না তাছাড়া এর ব্যবহার কেবল ছোট ছোট খেলনা বানানোতেই সীমাবদ্ধ রয়ে গিয়েছিল,  বিগত সময়গুলোতে।  3D printer এ মূলত এমন কিছু প্রিন্ট করা সম্ভব যা ত্রিমাত্রিক হবে।  যেমন একটা কলম কিংবা সাইকেলের টায়ার কিংবা আপনার জুতাও৷ অর্থাৎ, ইন্টারনেট থেকে একটা জুতার 3D মডেল ডাউনলোড করলেন, আপনার ...

মন প্রোকৌশল, স্বপ্ন অনুপ্রেরনা আর জীবন গড়ার ফরমুলা

" মন প্রোকৌশল , স্বপ্ন অনুপ্রেরনা আর জীবন গড়ার ফরমুলা " বইটার নাম , শুনতে অদ্ভুত এবং অস্বাভাবিকভাবে বড়। নাম শুনেই সহজেই বলে দেয়া যায় যে বইটা মূলত কিসের ওপর লেখা। হ্যা , মোটিভেশনাল ক্যাটাগরির বই এটা। মোটিভেশনাল ক্যাটাগরির হলেও সামান্য বিশেষত্য আছে এতে। একটু পরেই তা ব্যক্ষা করছি। বাংলা ভাষায় লেখা এরকম বই খুবই কম আছে , যদিও এখন এর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।   এই বইটার যে দুইটা জিনিস আমাকে প্রথম দফাতেই চমৎকৃত করেছে সেটা হল , এর ফ্রন্ট কভারের ডিজাইনটা এবং এর ব্যক কভারে লেখা লেখকের সম্পর্কে …… এই বইটা অনেক ছোট ছোট অনুপ্রেরণা মূলক প্রবন্ধ দিয়ে ভর্তি যেগুলো কোনোভাবেই দুই পাতার বেশি নয়। খুবই ছোট ছোট প্রবন্ধ। এই প্রবন্ধ গুলো অনুপ্রেরনা মূলক হলেও , আমার নিজের দৃষ্টি থেকে এই প্রবন্ধগুলো আমাদের প্রচলিত চিন্তাধারার পেছনে , প্রশ্নবোধক চিহ্ন জুরে দেয়৷ আমরা সচরাচর যেভাবে চিন্তা করি তাতে সামান্য পরিবর্তন আনতে সাহস জোগায়। বইটাকে কেন সম্পূর্ণভাবে মোটিভেশনাল ক্...

শরবতে বাজিমাত

শরবতে বাজিমাত, মুনির হাসানের লেখা এই বইটার নামটা ভারি অদ্ভুদ বটে। ভাবছেন কি বিষয়ের উপর লেখা বই, শরবত বানানোর কলাকৌশল?? নাহ্, এটা মূলত ব্যবসা রিলেটেড বই। মুনির হাসান, যার হাতে সূচনা হয়েছে, "চাকরি খুজব না, চাকরি দেব" প্লাটফর্মের। এই বইটাও উদ্দোক্তাদের আরেকটু উদ্দোক্তা হবার পথে এগিয়ে যাবার অনুপ্রেরনা দিয়েছেন… তবে একটু ভিন্নভাবে। বইটাতে রিচার্ড, অ্যডাম এবং জন নামের তিন বন্ধুর গল্প বলা হয়েছে যারা UK তে শরবতের ব্যবসা শুরু করে ইনোসেন্ট নামে। এই তিন বন্ধুই একসাথে কেমব্রিজ থেকে পাশ করে বের হয় এবং যথারীতি চাকরিতেও ঢুকে যায়, কিন্তু কেমব্রিজে থাকা অবস্থাতেই তাদের মাথায় ব্যবসার চিন্তা ঘুরপাক খেতে থাকে এবং এক পর্যায়ে তারা চাকরি ছেড়ে ১৯৯৮ সালে ৫০০ পাউন্ড সম্ভল নিয়ে "ইনোসেন্ট" নামে একটা স্মুদির(যাকে খাস বাংলায় শরবত বলা চলে) কোম্পানি শুরু করেন যেটি কিনা আজ ইউরোপ জুরে প্রতিদিন তিনলাখ বোতল বিক্রি হয়। তিন বন্ধুর এই ব্যবসার গল্পকে কেন্দ্র করেই লেখক তার নিজের দৃষ্টিকোন থেকে বইটি লিখেছেন। তাদের জীবনের বিভিন্ন ঘটনাকে বর্ননা করে, লেখক উপদেশ দিয়েছেন একজন...