Skip to main content

হাবলুদের জন্য প্রোগ্রামিং


হাবলুদের জন্য প্রোগ্রামিং, নাম শুনেই বুঝতে পারছেন, প্রোগ্রামিং সংক্রান্ত বই এই বইতে প্রোগ্রামিং বিষয়টাকে এতটাই সহজভাবে বোঝানো হয়েছে যে, প্রোগ্রামিং খুব বেশি সহজ বলে আপনার বিভ্রম হতেও পারে।

এই বইটার সবচেয়ে বেষ্ট পার্টটা হল, এতে একটা গল্প আছে। গল্পটা রাশেদ এবং অন্ত এর৷ রাশেদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হল ক্রমাগত কথা বলে যাওয়া, যতক্ষন পর্যন্ত তার ব্যাটারি শেষ হচ্ছে এবং অন্ত এর বৈশিষ্ট্য রাশেদের কথ শুনে যাওয়া।

রাশেদই মূলত ক্রমাগত কথা বলে অন্তকে প্রোগ্রামিং শেখায়। যেহেতু রাশেদ অন্তর সিনিয়র, তাই তুই বলে সম্মোধর করে, আর তাই পুরো বই তুই-তোকারি দিয়ে একাকার অবস্থা।
তবে তুই বলে সম্মোধনটা আমার বেশ ভার লেগেছে, এক ধরনের আপন আপন ফিল হয় বইটা পড়তে গেলে। মনেহয় কোনো কাছের মানুষের কাছ থেকে প্রোগ্রামিং শিখছি।

তাছাড়াও বইটার লেখার ভাষাও একেবারে নিজেদের, "খায়, পিন্দে না মাথায় দেয়" টাইপের।

শুধু গল্প থাকাটাই এই বইয়ের বিষেশ বৈশিষ্ট্য নয়, বইতে প্রোগ্রামিং এর বেসিক টার্মগুলো একেবারে মাঠেঘাটের ভাষায় বোঝানো হয়েছে, যা যে কেউই বুঝতে পারবে।
 

বইয়ে যথেষ্ঠ অনুশীলনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে, যেটা প্রোগ্রামিং শেখাটাকে আরও একটুখানি বুস্ট করবে।

এই বইয়ের যে অংশগুলো আমার সবচেয়ে ভাল লেগেছে;

বইয়ের সুচিপত্র

বইয়ের গল্প

এবং প্রোগ্রামিং এর টার্মগুলো বোঝাতে অসাধারণ কিছু উদাহরণ



সব মিলিয়ে বলতে গেলে , বলতে হবে;এক সময় মনে করা হত, যার লেখনীর কলাকৌশল, শব্দচয়ন কিংবা ব্যাখ্যা করার কৌশল যত ভাল হবে, সে তত ভাল লেখক।
এই বইতেও সবগুলো শর্তই পূরন করা হয়েছে, তবে একটু ভিন্নভাবে

***আর হ্যা, বইটা তাদের জন্য যারা প্রোগ্রামিংয়ের কিছুই জানেন না। এতে জাভাস্ক্রিপ্ট ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করা হলেও কোথাও এর উল্লেখ নেই। বিগেনারদের মধ্যে, পাইথন শিখব নাকি, সি প্লাস নাকি অন্যকিছু শিখব, এরকম কনফিউশান থাকে। লেখক ঝংকার মাহবুব বুদ্ধি করে জাভাস্ক্রিপ্ট শিখিয়ে দিয়েছেন। অনেকেই সহজ ভেবে পাইথন দিয়ে শুরু করার কথা ভাবে, But Java Script is SOLID !!!

Comments

Popular posts from this blog

3D Printing ,যেটার উপর আমরা নির্ভরশীল হতে যাচ্ছি

একসময় হাতে বই লেখা হত, তারপর ফর্মায় ফেলে দ্রুত বই তৈরি করা হল,  তারপর ফটোকপি মেশিন সেটাকে আরো একটু দ্রুত করে দিল, আর এখনকার কথা,  তো সবাই জানি। কত কম সময়ের মধ্যে কত বিশাল পরিমান বই তৈরি করে ফেলা হচ্ছে।   আর এর মূলে কিন্তু রয়েছে আধুুনিক সব প্রিন্টার। এই সব প্রিন্টারের দ্রুততা,  নিখুততা আমাদের কল্পনাকেও হার মানাচ্ছে।  তবে এর ভবিষ্যৎ কি? হাতে লেখার ভবিষ্যৎ ছিল,  ফর্মা, আবার ফর্মার ভবিষ্যৎ হল ফটোকপিয়ার।  যারা একটু ইন্টারনেট ঘাটাঘাটি করেন তারা নিশ্চয়, একটু আন্দাজ করতে পারছেন, 3D printer নামে একটা জিনিস বেশ কয়েক বছর ধরে শোনা যাচ্ছ,  তবে আম জনতার(mango people😁) মাঝে এটা খুব একটা হাইপ তুলতে পারেনি কারন,  বিষয়টা আমাদের প্রোয়োজনের সাথে যায় না তাছাড়া এর ব্যবহার কেবল ছোট ছোট খেলনা বানানোতেই সীমাবদ্ধ রয়ে গিয়েছিল,  বিগত সময়গুলোতে।  3D printer এ মূলত এমন কিছু প্রিন্ট করা সম্ভব যা ত্রিমাত্রিক হবে।  যেমন একটা কলম কিংবা সাইকেলের টায়ার কিংবা আপনার জুতাও৷ অর্থাৎ, ইন্টারনেট থেকে একটা জুতার 3D মডেল ডাউনলোড করলেন, আপনার ...

মন প্রোকৌশল, স্বপ্ন অনুপ্রেরনা আর জীবন গড়ার ফরমুলা

" মন প্রোকৌশল , স্বপ্ন অনুপ্রেরনা আর জীবন গড়ার ফরমুলা " বইটার নাম , শুনতে অদ্ভুত এবং অস্বাভাবিকভাবে বড়। নাম শুনেই সহজেই বলে দেয়া যায় যে বইটা মূলত কিসের ওপর লেখা। হ্যা , মোটিভেশনাল ক্যাটাগরির বই এটা। মোটিভেশনাল ক্যাটাগরির হলেও সামান্য বিশেষত্য আছে এতে। একটু পরেই তা ব্যক্ষা করছি। বাংলা ভাষায় লেখা এরকম বই খুবই কম আছে , যদিও এখন এর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।   এই বইটার যে দুইটা জিনিস আমাকে প্রথম দফাতেই চমৎকৃত করেছে সেটা হল , এর ফ্রন্ট কভারের ডিজাইনটা এবং এর ব্যক কভারে লেখা লেখকের সম্পর্কে …… এই বইটা অনেক ছোট ছোট অনুপ্রেরণা মূলক প্রবন্ধ দিয়ে ভর্তি যেগুলো কোনোভাবেই দুই পাতার বেশি নয়। খুবই ছোট ছোট প্রবন্ধ। এই প্রবন্ধ গুলো অনুপ্রেরনা মূলক হলেও , আমার নিজের দৃষ্টি থেকে এই প্রবন্ধগুলো আমাদের প্রচলিত চিন্তাধারার পেছনে , প্রশ্নবোধক চিহ্ন জুরে দেয়৷ আমরা সচরাচর যেভাবে চিন্তা করি তাতে সামান্য পরিবর্তন আনতে সাহস জোগায়। বইটাকে কেন সম্পূর্ণভাবে মোটিভেশনাল ক্...

শিলা:৪

শিলা স্কুল মাঠের কোনায় ছোট পিলারে উপর বসে আছে। হাতে বীট লবন। আঙ্গুল দিয়ে সে একটু একটু করে খাচ্ছে। একটু আগেই সে একটা বাদামওয়ালার কাছে থেকে চেয়ে নিয়েছে লবনটুকু। স্কুলে সাধারনত বাদামওয়ালারা হেঁটে বেড়ায় না, এক জায়গায় বসে থাকে। কিন্তুু এই বাদামওয়ালা ঘুরে বেড়াচ্ছে। এখন সে মাঠের আরেকপাশে। একটু পরেই এ পাশে চলে আসবে। তখন আরো খানিকটা লবন নেওয়া যাবে। হটাৎ হেডস্যার কোথাথেকে যেন চলে এলেন। উনি এসে বললেন, শিলা। আমি যান্ত্রিক গলায় বললাম, জ্বি। যেন রিভলবারে আগে থেকেই গুলি ভরা ছ িল, ট্রিগারে চাপ এবং গুলি বর্ষন। হেডস্যার বললেন, কি খাও? -লবন। হেডস্যার ময়লায় ঘিয়া রং হয়ে যাওয়া আলখাল্লা ধরনের একটা জিনিস পরেছেন। উনি হাত সবসময় পিছমোরা করে রাখছেন। হেডস্যার বললেন তুমি কি জান না, লবনের এক দানা জিহ্বায় ফেলা আর এক সিরিজ্ঞ বিষ শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়া ব্যাতিক্রমধর্মী কিছু নয়। শুধু ফলাফল আগে আর পরে গ্রহন। -জ্বি না স্যার। -তুমি আমাকে স্যার ডাকছ কেন? -কেন স্যার কি ডাকব? -আহা! আমি তো সকল কবির গুরু। কবিগুরু। গুরুদেব ডাকতে পার। -গুরুদেব কেন স্যার? -শিলা তুমি কি আমাতে চিনতে পারছ না? আমি কবিগুর...