Skip to main content

Posts

Showing posts from October, 2019

হাইজেনবার্গের গল্প

হাইজেনবার্গের গল্প, নাম শুনেই হয়তো আন্দাজ করে ফেলেছেন যে এটা বিজ্ঞানী হাইজেনবার্গের জীবনী বিষয়ক বই হবে। যেখানে, তার জন্ম মৃত্য কিংবা ছোট বেলায় তিনি খুব ভাল ছাত্র ছিলেন, এধরনের ভুয়ষী প্রশংশা করা থাকবে। কিন্তু না। এই বইটা মূলত, বিজ্ঞানে আগ্রহী করে তোলা কিংবা বিজ্ঞানের অসাধারণ সব অবদানের সমষ্ঠি। আমরা সচরাচর পত্রিকা কিংবা ওয়েবে এরকম তথ্য পড়ে থাকি যে, অমুক করলে ওই রোগ হবার সম্ভাবনা নেই কিংবা তমুক করলে সেই রোগ সেরে যাবে। কিন্তু এগুলোর ভিক্তি কি তা আমরা কখনোই ঘেটে দেখি না। এই তথ্যগুলো কিভাবে আসে, এই বইয়ে সুন্দরভাবে ব্যক্ষা করা হয়েছে। বিজ্ঞানের অবদানের কথা তো আমরা হরহামেশা শুনেই থাকি, কিন্তু এই বইয়ে সেটাই একটু সিনেমার ঘটনাপ্রবাহের মত করে বলা হয়েছে।  বইটা যখন পড়তে শুরু করেছিলাম, অর্থাৎ বইয়ের প্রথম দিকে যখন ছিলাম, তখন বইয়ের লেখককে সামান্য অহংকারী বলে মনে হচ্ছিল তার লেখনীর ধরনের কারনে। কিন্তু, বইয়ের যখন মাঝামাঝি চলে এলাম, তখন মনে হল, নাহ্ লেখক এতটুকু অহংকার করতেই পারে, কারন, তার ব্যক্ষা করার, বুঝানোর কৌশল সত্যিই অসাধারন!! বইয়ের বেশ কয়েকটা পয়ে...

শরবতে বাজিমাত

শরবতে বাজিমাত, মুনির হাসানের লেখা এই বইটার নামটা ভারি অদ্ভুদ বটে। ভাবছেন কি বিষয়ের উপর লেখা বই, শরবত বানানোর কলাকৌশল?? নাহ্, এটা মূলত ব্যবসা রিলেটেড বই। মুনির হাসান, যার হাতে সূচনা হয়েছে, "চাকরি খুজব না, চাকরি দেব" প্লাটফর্মের। এই বইটাও উদ্দোক্তাদের আরেকটু উদ্দোক্তা হবার পথে এগিয়ে যাবার অনুপ্রেরনা দিয়েছেন… তবে একটু ভিন্নভাবে। বইটাতে রিচার্ড, অ্যডাম এবং জন নামের তিন বন্ধুর গল্প বলা হয়েছে যারা UK তে শরবতের ব্যবসা শুরু করে ইনোসেন্ট নামে। এই তিন বন্ধুই একসাথে কেমব্রিজ থেকে পাশ করে বের হয় এবং যথারীতি চাকরিতেও ঢুকে যায়, কিন্তু কেমব্রিজে থাকা অবস্থাতেই তাদের মাথায় ব্যবসার চিন্তা ঘুরপাক খেতে থাকে এবং এক পর্যায়ে তারা চাকরি ছেড়ে ১৯৯৮ সালে ৫০০ পাউন্ড সম্ভল নিয়ে "ইনোসেন্ট" নামে একটা স্মুদির(যাকে খাস বাংলায় শরবত বলা চলে) কোম্পানি শুরু করেন যেটি কিনা আজ ইউরোপ জুরে প্রতিদিন তিনলাখ বোতল বিক্রি হয়। তিন বন্ধুর এই ব্যবসার গল্পকে কেন্দ্র করেই লেখক তার নিজের দৃষ্টিকোন থেকে বইটি লিখেছেন। তাদের জীবনের বিভিন্ন ঘটনাকে বর্ননা করে, লেখক উপদেশ দিয়েছেন একজন...

হাবলুদের জন্য প্রোগ্রামিং

হাবলুদের জন্য প্রোগ্রামিং , নাম শুনেই বুঝতে পারছেন , প্রোগ্রামিং সংক্রান্ত বই । এই বইতে প্রোগ্রামিং বিষয়টাকে এতটাই সহজভাবে বোঝানো হয়েছে যে , প্রোগ্রামিং খুব বেশি সহজ বলে আপনার বিভ্রম হতেও পারে। এই বইটার সবচেয়ে বেষ্ট পার্টটা হল , এতে একটা গল্প আছে। গল্পটা রাশেদ এবং অন্ত এর৷ রাশেদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হল ক্রমাগত কথা বলে যাওয়া , যতক্ষন পর্যন্ত তার ব্যাটারি শেষ হচ্ছে এবং অন্ত এর বৈশিষ্ট্য রাশেদের কথ া শুনে যাওয়া। রাশেদই মূলত ক্রমাগত কথা বলে অন্তকে প্রোগ্রামিং শেখায়। যেহেতু রাশেদ অন্তর সিনিয়র , তাই তুই বলে সম্মোধর করে , আর তাই পুরো বই তুই - তোকারি দিয়ে একাকার অবস্থা। তবে তুই বলে সম্মোধনটা আমার বেশ ভার লেগেছে , এক ধরনের আপন আপন ফিল হয় বইটা পড়তে গেলে। মনেহয় কোনো কাছের মানুষের কাছ থেকে প্রোগ্রামিং শিখছি। তাছাড়াও বইটার লেখার ভাষাও একেবারে নিজেদের , " খায় , পিন্দে না মাথায় দেয় " টাইপের। শুধু গল্প থাকাটাই এই বইয়ের বিষেশ বৈশিষ্ট্য নয় , বইতে প্রোগ্রাম...

মন প্রোকৌশল, স্বপ্ন অনুপ্রেরনা আর জীবন গড়ার ফরমুলা

" মন প্রোকৌশল , স্বপ্ন অনুপ্রেরনা আর জীবন গড়ার ফরমুলা " বইটার নাম , শুনতে অদ্ভুত এবং অস্বাভাবিকভাবে বড়। নাম শুনেই সহজেই বলে দেয়া যায় যে বইটা মূলত কিসের ওপর লেখা। হ্যা , মোটিভেশনাল ক্যাটাগরির বই এটা। মোটিভেশনাল ক্যাটাগরির হলেও সামান্য বিশেষত্য আছে এতে। একটু পরেই তা ব্যক্ষা করছি। বাংলা ভাষায় লেখা এরকম বই খুবই কম আছে , যদিও এখন এর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।   এই বইটার যে দুইটা জিনিস আমাকে প্রথম দফাতেই চমৎকৃত করেছে সেটা হল , এর ফ্রন্ট কভারের ডিজাইনটা এবং এর ব্যক কভারে লেখা লেখকের সম্পর্কে …… এই বইটা অনেক ছোট ছোট অনুপ্রেরণা মূলক প্রবন্ধ দিয়ে ভর্তি যেগুলো কোনোভাবেই দুই পাতার বেশি নয়। খুবই ছোট ছোট প্রবন্ধ। এই প্রবন্ধ গুলো অনুপ্রেরনা মূলক হলেও , আমার নিজের দৃষ্টি থেকে এই প্রবন্ধগুলো আমাদের প্রচলিত চিন্তাধারার পেছনে , প্রশ্নবোধক চিহ্ন জুরে দেয়৷ আমরা সচরাচর যেভাবে চিন্তা করি তাতে সামান্য পরিবর্তন আনতে সাহস জোগায়। বইটাকে কেন সম্পূর্ণভাবে মোটিভেশনাল ক্...